Tag: গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার

এ শুধু গানের দিন এ লগন গান শোনাবার। এ তিথি শুধু গো যেন দখিন হাওয়ার।। এ লগনে দুটি পাখী মুখোমুখি নীড়ে জেগে রয়, কানে কানে রূপকথা কয়। এ তিথি শুধু গো যেন হৃদয় চাওয়ার। এ লগনে তুমি আমি একই সুরে…

এই পুণ্য প্রভাতে আলোয় ভরেছে প্রাণ প্রভু তোমারই নামে প্রভু তোমারই নামে, পাখীর কণ্ঠে জেগেছে নতুন গান। তোমারই নামে প্রভু তোমারই নামে। পূরব গগনে খুলেছে স্বর্ণদ্বার প্রভু তোমারই নামে, ঘুচিল দ্বন্দ্ব মুছিল অন্ধকার প্রভু তোমারই নামে। ফুলেরা পবনে সুরভি করিল…

বল্লভ ফিরে গেছে পল্লব ঝরে গো দূরে ঐ নভোনীল মেঘছায় ভরে গো।। করবীর সুরভিতে অন্তর জাগেনি মন্থর সমীরণে সেই দোল লাগেনি সেই সুর নেই যেন বিহগের স্বরে গো।। বেলা শেষে খেয়াতরী ঐ যেন বয়ে যায় পথিকের স্মৃতি শুধু আঁখিজলে রয়ে…

তোমার দুটি চোখে, ঐ যে মিষ্টি হাসি, আমায় কাছে ডেকে বলে ভালবাসি। তোমার আমার জীবনে আর এই রাত কি আসবে, আমায় তুমি আগের মত আর কি ভালবাসবে— কেন বাজাও মায়া বাঁশী। সোনার হরিণ পালিয়ে বেড়ায় ধরা তারে যায় কি, বন্ধ…

কাঙালের অশ্রুতে যে রক্ত ঝরে ভগবান, ও ভগবান দেখেও তুমি দেখে না। ওরা যে সেই পাঁজরে প্রাসাদ গড়ে ভগবান ও ভগবান দেখেও তুমি দেখো না। মিনতি শুনে হায় পাষাণও গলে যায় তুমি তো দেখোনা গো চেয়ে বেদনা পেয়ে আমরা কাঁদি…

মায়ামৃগ সম তুমি কি গো শুধু দূরে রবে সাথী গো। অশ্রু মুকুলে মালাখানি মোর গাঁথি গো। এ ব্যথা পারিনা সহিতে এ তো জানো শুধু বহিতে কেঁদে ফিরে যায় চাঁদ জাগা এই রাতি গো। আঁখিতে হারায়ে প্রিয় যবে গো স্বপনের মাঝে…

শেষ প্রহরের ভীরু নয়ন ব্যথায় ছল ছল। তবু তুমি নীরব কেন একটু কিছু বল। স্বপন মোহে রব যে দোহে যেথায় শুধু তুমি আমি সেথায় নিয়ে চল।। আকাশে অনেক দূরে। ঝিকিমিকি তারা জ্বলে গো। ওরা যেন ওদের ভাষায় কত কথাই বলল…

“ও শিমুল বন দাও রাঙিয়ে মন” কৃষ্ণচূড়া দোপাটী আর পলাশ দিল ডাক মধুর লোভে ভীড় জমাল মৌ-পিয়াসী অলির ঝাঁক। কামবাঙা বৌ মুখ ঢাকে লাল চেলীতে চোখ গেল দেয়না তারে চোখ মেলিতে দিসনে গো ডাক তাবে দোহাই কথা রাখ। আবেশে আজ…